1. info@www.bcnnews24.com : BCN NEWS 24 :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে আশুলিয়ায় চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ী গাঁজাসহ গ্রেফতার। রাজধানী মিরপুর ডিওএইচএসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি,লুটপাটকৃত মালামালসহ গ্রেপ্তার ৪। আশুলিয়ায় শহীদ স্মরণে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। সাভারের বিরুলিয়ার রাস্তা দুইপাশ দখল করে চাঁদাবাজি,ভোগান্তিতে নাকাল পথচারীরা। জুলাই বিপ্লব কারো একক সম্পত্তি নয়,এটা সার্বজনীন—সাভারে স্মরণ সভায় মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন। দুটি কিডনী অচল,অসহায় রোগীকে বাঁচাতে কনসার্ট আয়োজনসহ পাশে দাড়ালেন বিএনপির নেতা লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম। প্রতিবন্ধী মিমের খোঁজে পথে পথে ঘুরছে বৃদ্ধ নানী আমেনা বেগম। ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪। রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন(ববি)’র শিক্ষার্থীরা।

সারাদেশে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের পর নির্যাতন করে আদালতে তোলা হচ্ছে:মির্জা ফখরুল।

বিসিএন ডেস্ক।
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

সারাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি’র) নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করার পর তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি’র)মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিন বলেন,সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকারদলীয় সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে হামলা চালিয়ে ইতিহাসে হতাহতের যে বর্বরোচিত নজির স্থাপন করেছে তা দেশ-বিদেশের সব স্বৈরাচারের নির্মম নিষ্ঠুরতাকেও হার মানিয়েছে।শুক্রবার(২৬শে জুলাই ২০২৪ইং)এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।এছাড়া বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার নিজেদের পালিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ব্যর্থতা আড়াল করতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গ্রেফতার করে যাচ্ছে,এদিকে এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী,বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার,নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে গ্রেফতার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গ্রেফতার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনকে তিনদিন পর আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানান তিনি।এছাড়াও এসব অভিযানে অব্যাহত গতিতে দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে,বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বাসাসহ অনেক সিনিয়র নেতার বাসায় তল্লাশি চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার,তবে কারান্তরীণ ও জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন,সারাদেশে গ্রেফতার নেতাদের গুম করে রেখে নির্যাতন চালিয়ে তিন থেকে চার কিংবা পাঁচ দিন পর আদালতে হাজির করা হচ্ছে যা আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মনে করি।দেশের নাগরিকদের গুম করে রাখার ভয়াবহ সংস্কৃতি চালু রেখে মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করা হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।বর্তমান সরকার’কে এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকাণ্ড পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি।বিএনপি’র মহাসচিব বলেন,একটি স্বাধীন দেশে সরকারের দায়িত্ব হলো-রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া,গত ১৮ই জুলাই থেকে কিছুদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যখন যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনরত তখন সেই মুহূর্তে সরকার প্রধানসহ সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা ও পার্লামেন্ট মন্ত্রীরা তাদের তাচ্ছিল্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেয় তাদের নির্মূল করার।সরকারি দলের সন্ত্রাসী এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে জনগণের টাকার কেনা গুলি,টিয়ারসেল,রাবার বুলেট,সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে নিক্ষেপের মাধ্যমে শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে গণহারে হত্যা এবং হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে আহত করেছে,যা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে।এই নির্মম অত্যাচারে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)’ও একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে এবং সারা দেশে কর্মসূচিও পালন করেছে।কিন্তু অবৈধ সরকার মরিয়া হয়ে রাষ্ট্রের সব বাহিনীসহ দলীয় সন্ত্রাসীদের সাধারণ মানুষ,বিএনপি নেতা-কর্মী ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ব্লক রেড দিয়ে গ্রেফতার করছে।এখন পর্যন্ত তাদের হিসাবে প্রায় তিন হাজার গ্রেফতার করছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্য ও লজ্জাজনক।তবে ছাত্র জনতার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমন করার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,অবিলম্বে সান্ধ্য আইন প্রত্যাহার এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। বরাবরই আওয়ামী লীগ লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে এবং ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গত কয়ক দিন যে পরিমাণ নিরীহ ছাত্র-মানুষকে গুলি চালিয়ে পাখির মতো হত্যা করেছে,গণহত্যা চালিয়েছে,তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কথাই মনে করিয়ে দেয়।তিনি আরও বলেন,গত কয়েকদিনে কতজন নিরীহ মানুষ’কে হত্যা ও পঙ্গু করা হয়েছে জনগণ তার সঠিক পরিসংখ্যান জানতে চায়।এছাড়া জনগণের টাকায় কেনা কী পরিমাণ গোলাবারুদ,টিয়ার সেল,সাউন্ড গ্রেনেড শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে তার হিসাবও জনগণ জানতে চায়।রাষ্ট্রের টাকায় কেনা হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন কড়ায়-গন্ডায় আদায় করে নেবে বলে জানান তিনি।যে সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে প্রকাশ্যেই হত্যা করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন ফখরুল,তাই এই অবৈধ সরকারকে বলবো- অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন।বিএনপি মহাসচিব এই গণহত্যা,নির্যাতন,দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সব দেশপ্রেমিক মানুষ,রাজনৈতিক দল,ছাত্র,শিক্ষক,কৃষক,শ্রমিক ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভয়াবহ ফ্যাসীবাদী শাসক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের দুর্বার সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।ফখরুল তার বিবৃতিতে বিনা অপরাধে গ্রেফতার বিএনপির নেতাসহ গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে সবাইকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জোর আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত