নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে শ্রমিক লীগ নেতার হুকুমে আওয়ামী লীগের ১৬ নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার ৬ই আগস্ট সন্ধ্যায় ও গত বুধবার ৭ই আগস্ট সকালে বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এ ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।সোমবার ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর নুনেরটেক এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।পরে বাড়িঘরে ফাকা পেয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা।সরজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য সুত্রে জানা যায়।পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে আত্বগোপনে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বাড়ি ফাকা পাওয়ায় শ্রমিক লীগ নেতার হুকুমে আওয়ামী লীগের ১৬ নেতাকর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।তবে এক ভুক্তভোগী তথ্যে জানিয়েছেন
,তাদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে হুকুম দিয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর মাহমুদ।এদিকে উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণির অভিযোগ,জেলা শ্রমিক লীগ নেতা শুকুর মাহামুদের সঙ্গে আমাদের পুর্বে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল,এর জের ধরে বর্তমান অস্থিতিশীল’কে কাজে লাগিয়ে তিনি বিএনপি নেতাকর্মী দিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট করিয়েছেন বলে জানান তিনি।তাছাড়া আরেক ভুক্তভোগী আবুল হাসেম বলেন,’আমরা বরাবর রাজনৈতিকভাবে সহাবস্থানে ছিলাম।কিন্তু পূর্বশত্রুতা কাজে লাগিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা শুরুর আমার অফিস থেকে নগদ ৬ লক্ষ্য টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।তবে এবিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের নেতা শুক্কুর মাহমুদের কাছে আনিত ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শুক্কুর মাহমুদ অভিযোগে বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন,যারা আমাকে নিয়ে অভিযোগ করছেন তারা হয়তো ভুল ভাবছেন,আমি এসব হামলা,ভাঙচুরসহ লুটপাটে ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত না,তাছাড়া আমার এ ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্কও নেই।তবে ঘটনার সময় আশেপাশে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,নারায়গঞ্জের সোনারগাঁওয় নুনেরটেক গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি,আবুল হাসেম,মনির হোসেন,স্বপন মিয়াসহ তাদের সহযোগীরা ১৬টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে কিছু দুর্বৃত্তরা।এ সময় সেখানে ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কাদির ও বারদী ইউপির সাবেক সদস্য জিলানী মিয়াকেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বলে জানান।