সাভার ও আশুলিয়ার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী লাপাত্তা,এদিকে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাভার পৌর মেয়র হাজি আব্দুল গণি,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব,ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর,ঢাকা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান মিজান অরফে(জিএস মিজান),উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক,সহসভাপতি নিজাম উদ্দিন আহমেদ টিপুএছাড়াও আশুলিয়া থানার অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মধ্যে-আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার,সদস্য সচিব মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ আরো অসংখ্য নেতাকর্মী গা-ঢাকা দিয়ে আত্নগোপনে রেয়েছে।তবে নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকলেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো যেমন-ফেছুবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,ইনস্টাগ্রাম,ইমু,টুইটারের মত যোগাযোগ ব্যাবস্থা ব্যাবহারে মাধ্যমে তাদের অনেককেই সক্রিয় থাকত দেখা যায়।এদিকে সাভার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,পৌর কাউন্সিলর ও তাদের অনুসারীরাও গুরুর সাথে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর উত্তেজিত জনতা তাদের অনেকের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ছাত্র আন্দোলনের তোপে মুখে পরে প্রান বাচানোর তাগিতে যে যার মত করে আত্নগোপনে রয়েছে,এদিকে নাম প্রকাশে সার্থে ভুক্তভোগী কয়েকজন মনের খোভ প্রকাশ করে জানান,সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী রাজু আহম্মেদের অত্যাচারে অনেকেই অতিষ্ঠ ছিল।জুলুম নির্যাতন ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায় ছিল তার নিত্যদিনের কর্ম।তাই অল্প কিছুদিনেই তিনি শত কোটি টাকার মালিক বনেও গেছেন।এছাড়া রাজু ছাত্র আন্দোলনে একাধিক ছাত্রদের ওপর লক্ষ করে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে দেখা যায়,যার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে-ভাইরাল হয়েছে
,এছাড়াও এই ভিডিও দেখে মানুষের মনে এসব আওয়ামী লীগের হায়নার দলের বিপক্ষে একাধিক অভিযোগ করেন।তবে ছাত্র আন্দোলনের ৫ই আগস্ট বিজয় ঘোষনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর পরই এই আলোচিত পা-চাটা পিএস রাজুও আত্নগোপনে চলে যায়।এদিকে সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভারেও ছাত্
,পুলিশ,পথচারীসহ এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে।এ সরকার পতনের পরই উত্তেজিত জনতা এসব পা-চাটা আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে,এমকি বাদ পরেনি থানাসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন স্থাপনা।এদিকে সাভারের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সভা, আনন্দ-উল্লাস,বিজয় মিছিল ও আন্দোলনে শহিদদের আত্বার মাগফেরাত কামনা একমিনিট নিরবতা পানলসহ দোয়ার আয়োজন করেছেন।তবে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের বসে ব্যক্তিগত আক্রমণ,কারো বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা,ভাঙচুর না করারও অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)’র নেতাকর্মীরা।এছাড়াও বিএনপির এক বক্তব্য বলতে দেখা যায়,সারাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকটা স্বাভাবিক হতে দেখা যায় সাভার ও আশুলিয়া এলাকা।তাছাড়া এসব এলাকায় নেই আওয়ামী নেতাকর্মীদের হুঙ্কার ও দখল বাণিজ্য।শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি নেতাদের অনুসারীরাও আত্মত্মগোপনে চলে যেতে দেখা যায়।শুধু তা-ই নয় আলাদীনের চেরাগে ঘর্ষনে সাবেক ত্রান ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা:এনামুর রহমানও গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে দেখা যায়,শুধু তাই নয়,তার(সাবেক মন্ত্রী)যোগাযোগে ব্যাবহারিত হোয়াটসঅ্যাপ এপটিও ডিলিট করে রাখতে দেখা যায়।এছাড়া সসভার ও আশুলিয়া অনেকে লেবাসধারী বদলে নিজেকে বিএনপি কর্মী হিসাবে। দাবি করার চেষ্টা করতে দেখা যায়।সাভার উপজেলা কেন্দ্রিক ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার অধিকাংশ সরকারি অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ রয়েছে।অথচ অন্য সময় উপজেলা কার্যালয় ও বাসভবনে নেতা ও তাদের অনুসারীদের আধিপত্যে সরগরম থাকতো।কিন্তু এখন সেই জায়গায় জনশূন্য ও নীরব।তাছাড়া খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার খবর পাওয়ার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য(সদ্য সাবেক),আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা,থানা সভাপতি ফারুক হাসান তুহিনসহ আরো অনেকেই।
চলবে,,,,দ্বিতীয় পর্ব।