সাভারের সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা:এনামুর রহমান ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল রাজীবসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ৩২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।গত ৫ই আগস্ট হামলায় সাভারে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের বাবা মো: আলমগীর গতকাল সোমবার সাভার মডেল থানায় এ মামলা করেন।মামলায় অন্তত ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।অপর আসামিদের মধ্যে সাভারের সাবেক পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গনি,কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা,সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমানের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।মামলার এজাহার অনুযায়ী,সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন গত ৫ই আগস্ট সকালে সাভারের বাসা থেকে বের হন।এসময় আনুমানিক সাড়ে ১০ঘটিকার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায়।মামলার আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়াসহ এলোপাতাড়ি গুলি করেন।এসময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হলে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করার সময় মামলার এজাহারের আসামিরা দৌড়ে সাজ্জাদ হোসেন’কে ধরে পেটায় ও গুলি করে।পরদিন দুপুরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সাজ্জাদ হোসেন।এবিষয়ে মামলার বাদী মো: আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি লোকমুখে শুনে আসামিদের নামে মামলা করেছি।আমি কাউকেই চিনি না।এ নিয়ে ৫ই আগস্টে হতাহতের ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়া থানায় মোট তিনটি মামলা হলো।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।নিহত আস- সাবুরের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী গত রবিবার রাতে আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন।একই ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা হয়েছে।নিহত দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আস-সাবুর আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত।তার মায়ের করা মামলায় বলা হয়।গত ৫ই আগস্ট সাবুর বাইপাইলে বিক্ষোভে অংশ নেয়।পরদিন বিকালে বাইপাইল মোড়ে আস সাবুরের ক্ষতবিক্ষত দগ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।পরে জানা যায়,আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার ছেলেকে পিটিয়ে,গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।একই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দুটি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার এক কর্মকর্তা বলেন,কেউ মামলা দায়ের করতে চাইলে মামলা নিতে হবে।আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশিট দেব বলে জানান তিনি।