সাভার প্রতিনিধি।
পল্লী শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের নামে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়দের অভিযোগ‘পল্লি ভিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’বেকার যুবক-যুবতীদের পল্লী শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।সরেজমিনে তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়,শুধু সাভারেই নয় দেশের বিভিন্ন জেলায় যুবক-যুবতীদের টার্গেট করে তাদেরকে পল্লি শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।শুধু তা-ই নয় প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির যুবক-যুবতিদের মাসে একটা সামান্য অংকের বাতা প্রধান করে নিয়োগ বাবদ নিচ্ছেন ৬-১৩ হাজার টাকা।এছাড়াও জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর,সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তার অধীনে মাত্র ২১ দিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে পল্লি শিক্ষতার নিয়োগের পত্র।এ চক্রটি গ্রামের সাধারণ ও স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের প্রলোভন দেখিয়ে এই ভুয়া নিয়োগপত্রের বাণিজ্য করে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।পল্লী ভিশন ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি’র এক কর্মকর্তা নিপুন কুমার বিশ্বাশের সাথে মুঠোফোনে নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিয়োগ পত্র কিভাবে পাওয়া যাবে এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন(নিপুন বিশ্বাস)পল্লী ভিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে এক মাস,ছয় মাস ও এক বছর মেয়াদে পল্লী শিক্ষকতা ছাড়াও বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে,পরে পুনরায় জানতে চেয়েছি,কি ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আপনাদের এই প্রতিষ্ঠানে, তিনি(নিপুন বিশ্বাস)বলেন,প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো হচ্ছে পল্লীশিক্ষকতা,অ্যানাটমি,ফিজিওলজি,ফার্মাকোলজি, গাইনি ও চক্ষুরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা,দন্ত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা,মেডিসিন ও প্যাথলজি ক্লাশ সহ বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্যাট্রিক্যাল ক্লাস নেওয়া হবে।তাছাড়াও আরএমপি‘গ্রাম।যা প্রশিক্ষণের এলাকা অনুযায়ী জেলা সাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজ-কল্যান,ও পরিবার পরিকল্পনার অধিনেই হবে,তবে ডাক্তার’কোর্সের মেয়াদ ছয় মাস,যোগ্যতা এসএসসি বা দাখিল পাশ হলেই চলবে।তাছাড়া পল্লী ভিশন ওয়েলফেয়ারে আরো যেসব প্রশিক্ষণ পাওয়া যাবে-শর্ট ডিপ্লোমা-ইন-মেডিসিন কোর্সের মেয়াদ এক বছর,যোগ্যতা এসএসসি বা দাখিল পাশ এ ছাড়াও এক মাসের বিশেষ কোর্স রয়েছে বলে জানান তিনি।এদিকে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক চিকিৎসকের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,যদি মাত্র ২২ দিনের প্রশিক্ষণে মানবদেহের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়,তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডিগ্রি নেওয়ার কি দরকার?।তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকের প্রলোভন দিয়ে বেকারদের প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া একটা কৌশল অবলম্বন করছে এই চক্রটি।এদিকে এই চক্রের একজন সদস্য নিপুন কুমার বিশ্বাসের সোবহানভাগ বাসার বাড়িওয়া ও আশেপাশের একটি বিকাশের দোকানের মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়,পল্লী ভিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামক একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা প্রতারক নিপুন কুমার বিশ্বাস আইটি সেক্টরের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে,শুধু তা-ই নয় এই প্রতারক ধামরাই একাদিক যুবক-যুবতিদের টার্গেট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হয়ে যায়।এদিকে ধামরাই দারিদ্র্য ঘরের সন্তান,দুই ছেলে একমেয়ের জনক সানোয়ার হোসেন নামক এক ভুক্তভোগীর কাছে এই নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান(সানোয়ার)আমি একজন পঙ্গু মানুষ সংসারের পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনপার করতে হয়,তাছাড়া আমি এখন টিউশন শিক্ষক কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে যা পাই তাতে আমাদের চলতে বেগ পহাতে হয় বলে আমি একটা পার্টটাইম কাজের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খোজ খবর পাঠাই,
কিছুদিন পর প্রতারক নিপুন কুমার বিশ্বাশের সাথে আমার পরিচিয় হলে,কথপোকথনে একপর্যায়ে তিনি আমাকে পল্লী ভিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এই প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ নিজ এলাকায় সরকারি অনুদানে একটি স্কুলের শিক্ষতার পরামর্শ দেন,পরে আমার নিজ এলাকায় অনেক অসহায় পরিবারের সন্তানদের সরকারি খরচে পরাতে পারবো এই ভেবে আমি তার কথা সম্মতি দিলে আমাকে সাভার পল্লী ভিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অফিসে ডাকা হয়।একপর্যায়ে আমাকে নিয়োগ বাবদ ৩.৬০০ টাকা জমা দিতে হবে।পরে আমি ধারদেনা করে এই প্রতিষ্ঠানে ৩.৬০০ টাকা প্রধান করি,আর আমার মাসিক বাতা ধরা হয়।পরে বেকার না থেকে এই কাজ করার সম্মতি দিয়ে আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে থাকি।এর মাস কয়েক পর আমাকে তারা ফিল্ড সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিলো আর আমার কাছ থেকে নিয়োগ বাবত ১২৫০০ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারক নিপুন কুমার বিশ্বাস।শুধু তা-ই নয় আমার কাজের পাশাপাশি আমার গ্রামের অনেক ছেলে মেদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
এবিষয়ে বিস্তারিত আরো থাকছে দ্বিতীয় কলামে,,,,,,,,,,,,,,