স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাভারে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।সকালে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আইচানোয়াদ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এঘটনায় ছাত্রদল নেতা নাঈম খান(২৫)বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,আইচানোদ্দ এলাকার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রশীদ মোল্লা(৬৫),তার ছেলে লিটু মোল্লা (৩৮),টুটুল মোল্লা(৩৬),পলাশ মোল্লা(৩২)।অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,বিবাদীরা এলাকার চাঁদাবাজি, লুটপাট,মমাদক বিক্রয়সহ কিশোরগ্যাং নেতৃত্বেদানকারী ।এসব কর্মকান্ডে আমরা প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়া আসছে।তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং সকালে সাভার পৌর এলাকা আইচানোয়াদ্দায় অবস্থিত বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ভিতরে পিএম এর কক্ষে অবস্থান করিয়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে প্রতিনিয়ত বখাটে এবং কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করি।প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আমাদের মতামতের সহিত একমত পোষণ করেন এবং বখাটে ও কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্মক কমানোর জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা চান।আলোচনার শেষের দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালীন সময়ে সেই আলোচনার বিষয় সংবাদ পেয়ে উল্লেখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রে সঙ্গে আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমন করে। একপর্যায়ে বিবাদী রশীদ মোল্লার পকেটে থাকা ধারালো ছুরি বাহির করিয়া উক্ত ছুরি দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাম পাজরে আঘাত করিয়া মারাত্মক ভাবে রক্তাক্ত জখম করেন।পরে আহত অবস্থায় বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি:এর কর্তৃপক্ষ আমাকে উদ্ধার করে থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা কাছে ঘটনা বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন।এলাকায় চাঁদাবাজি,লুটপাট,মাদক বিক্রয়সহ নানান অপকর্মের কাজে বাধা দেওয়ায় সাবেক কমিশনার রশিদ মোল্লা ও তার পুত্রসহ আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে আমি কিছু বুজে উঠার আগে আমার উপর হত্যার উদ্যেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়,এক
পর্যায়ে আমি জীবন বাঁচানোর জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে বাইরে বের হয়ে দৌড় দিলে বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী আমাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছোরা,রামদা লোহার রড,লাঠি এবং হাতে থাকা ছুরি নিয়া ধাওয়া করে।পথিমধ্যে পিছন দিক হইতে বিবাদী লিটু মোল্লা ও টুটুল মোল্লা লোহার রড দিয়া পিটাইয়া আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফাটা মারাত্মক ও নীলাফুলা জখম করে।এ ঘটনার সময় বিবাদী পলাশ মোল্লা আমার বন্ধু কাউসার আহমেদ কাঁকন মোল্লা কে লাঠি দিয়া পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখন করে।উক্ত ঘটনা দেখে ও আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এবিষয়ে বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালের প্লান্ট ম্যানেজার,বিদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন,আমি নাঈমের সাথে আমার অফিসে বসে কথা বলছিলাম।এমন সময় হঠাৎ করে একজন বয়স্ক ব্যক্তি আমাদের রুমে প্রবেশ করেন।তাকে আমি বসতে বলি। এমন সময় ওই ব্যক্তি নাঈমের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং পকেটে থাকা ছুরি বের করে তাকে আক্রমণ করে।পরে আমরা নাঈম কে উদ্ধার করি।তাছাড়া ঘটনার বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।