স্টাফ রিপোর্টার।
ঢাকার ধামরাইয়ে চাকরি স্থায়ীকরণ,বেতন বৃদ্ধি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ নয় দফা দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন আকিজফুড আ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের শ্রমিকরা,এছাড়াও আন্দোলনরত শ্রমিকেরা প্রতিষ্ঠানটির সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।সোমবার(৭ই অক্টোবর২০২৪ইং)সকালে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ঢাক-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন আকিজ ফুড আ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের শ্রমিকরা।এতে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয় ভোগান্তি পরে দূরপাল্লা থেকে আগত পরিবহনের অসংখ্য যাত্রী।পরে প্রায় ৪০ মিনিট পর সড়ক ছেড়ে দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা শ্রমিকেরা।তবে আন্দোলনের মুল দাবীর বিষয় জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের একাধিক শ্রমিকেরা সাংবাদিকদের জানান,দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকরা স্থায়ীকরণের জন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবি করে আসছিল।এছাড়া মাসিক নুন্যতম ১৫ হাজার টাকা বেতনসহ প্রতিদিন কর্মস্থলে যোগদানের সুযোগ সুবিধা চেয়েছিল শ্রমিকেরা।পরে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা লক্ষ্যে তাদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো দাবি মেনে নেয়নি তারা।এছাড়াও তিন মাস আগে বেতন বৃদ্ধির কথা বলা হলেও এখনও শ্রমিকরা বর্ধিত বেতন পাননি।পরে এসব দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আজ(৭ই অক্টোবর ২০২৪ইং)নয় দফা দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করেন।এদিকে শ্রমিকদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো-মাসিক বেতন নুন্যতম ১৫ হাজার টাকা করা,বাধ্যতামূলক বেতনের অর্ধেক ঈদ বোনাস দেওয়া,প্রতি দিন সবাইকে ডিউটি দেওয়া,কর্ম দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে চাকরি স্থায়ীকরণ করা, কোম্পানির লভ্যাংশ দেওয়া,নাইট বিল দেওয়াসহ, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোনো শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান’কে নিতে হবে,এছাড়াও কোম্পানির প্রতিটি বিভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা ও সাপ্তাহিক ছুটি বাধ্যতামূলক দিতে হবে।এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে শিল্প পুলিশ-১এর উপ-পরিদর্শক (এসআই)মো:রেজাউল করিম জানান,আন্দোলনে শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন।তাদের দাবিগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রয়েছে।তাছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মুল ফটকের সামনে যৌথবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।