জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা-৩ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের মৌখিক(ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ২২ জন পরিক্ষার্থী’কে আটক করা হয়েছে।পরে আটককৃতদের পুলিশে দিলে তাদের থানার হেফাজতে নেওয়া হয়।এদিকে চাকরি প্রত্যাশী ২২জন পরিক্ষার্থী আটকদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।তাছাড়া লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখা মিল না থাকায় তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা।এদিকে শনিবার(২৫শে অক্টোবর ২০২৪ইং) রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তাদের গ্রেফতার করে নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তারা।এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুপুর ২ঘটিকা হইতে ২২৬ জনের মৌখিক(ভাইভা)পরীক্ষা শুরু হয়।তবে শেষ পর্যন্ত আরো ৩৬ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বলে জানান তিনি।এদিকে শনিবার(২৫শে অক্টোবর ২০২৪ইং) ১১ঘটিকার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিয়োগ বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগ গাইবান্ধার উপ-পরিচালক মো: শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২২ জনের লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে কোনো মিল পাওয়া যায়নি।তাছাড়া ভাইভা বোর্ডের সামনে তারা স্বীকার করেন,তাদের পরিবর্তে প্রক্সি ক্যান্ডিডেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।অর্থাৎ,প্রকৃত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পুলিশে দেওয়া হয়।ধারণা করা হচ্ছে,নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পেছনে কোনো সিন্ডিকেট চক্রের জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হয়েছে।তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা উদঘাটন করবে বলে আশা করা যায়।এর আগে,গত শুক্রবার(২৪শে অক্টোবর ২০২৪ইং) গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ৩ হাজার ৭২২ জন মৌখিক ভাইবা পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।পরীক্ষার ফলাফলে ২২৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়।চলতি বছরের গত(২৫শে মে ২০২৩ইং) গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রাজস্ব শাখার অফিস সহায়ক ৫৫টি শূন্য পদ পূরণের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সাবেক জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল।এতে এইচএসসি ও এসএসসি পাশ করা চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করেন বলে জানান তিনি।