জেলা প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলা কানাইপুর এলাকার আলোচিত ওবায়দুর খান(২৮)হত্যা মামলায় কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাপ হুসাইন(৫২)সহ দুইজনকে আটক করেছেন র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১০ এর একটি দল।এছাড়া এই আলোচিত হত্যা মামলা গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ শেখ(৪২)।তারা দুজনেই আলোচিত ওবায়দুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।বৃহস্পতিবার(১৬ই জানুয়ারি ২০২৫ইং)দুপুরে এই দুই আসামীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের স্কট কমান্ডার(সহকারী পুলিশ সুপার)মো: আলী আরশাদ।তবে র‍্যাব-১০ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলী আরশাদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গত বুধবার দিনগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ঘটিকার দিকে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের’কে আটক করা হয়।এছাড়াও(১৬ই জানুয়ারী ২০২৫ইং) বৃহস্পতিবার সকালে তাদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।তাছাড়া আলোচিত এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিন আসামী’কে আটক করা হয়েছে।এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে নিহত ওবায়দুর খান’কে তুলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খায়রুজ্জামানসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মমলা রুজু হয়।ঘটনার দিন ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খাইরুজ্জামান সহ অজ্ঞান ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনীর নিয়ে নিহত ওবাইদুলের প্রথমে দুই চোখে পেরেক ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং পায়ের রগ কেটে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়।পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর ওবায়দুলকে রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।নিহত ওবায়দুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের মোঃ বিল্লাল খানের ছোট ছেলে এবং পেশায় কৃষি ও কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।তার পাঁচ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।এ ঘটনার একদিন পর গত শনিবার রাতে খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ওবায়দুরের বাবা মোঃ বিল্লাল খান।তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী খাইরুজ্জামান খাজা।এছাড়াও শীর্ষ সন্ত্রাসী খাইরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা,ডাকাতি,দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।