সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারের বিরুলিয়া জোড়া ব্রীজ সংলগ্ন ফুড কোর্ট মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে চাঁদা দাবি করেন,এতে ফুট কোটের মালিক পক্ষ চাদা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা ভাংচুরসহ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় চাদা দাবী করতে আশা একব্যক্তি’কে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব।গত বুধবার(২ই এপ্রিল২০২৫ইং)দিবা গত রাতে এ ঘটনার পর মার্কেট ও দোকান মালিকরা বিষয়টি যৌথবাহিনীকে অবগত করেন।পরবর্তীতে যৌথবাহিনীসহ সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিল্লাল নামক একজন’কে আটক করেন।এঘটনায় বিরুলিয়া ফুটকোট মার্কেট মালিক মামুন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নং-০৭।এমামলায় অভিযুক্ত আসামীরা হলেন বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাব এলাকার মৃত কফিলের ছেলে মোহাম্মদ মামুন,এনায়েত উল্লাহ এর ছেলে মোঃ বিল্লাল ,আলি আশরাফ,জসীম উদ্দীন,দেলোয়ার হোসেন,মেহেদী, ইউসুফ মোল্লার ছেলে কাউসার মোল্লা সহ অজ্ঞাত আরো ২০/৩০ জন।এছাড়াও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার ২ই এপ্রিল দিবাগত রাত আনুমানিক ৯ঘটিকার দিকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীসহ আরো প্রায় ২০/৩০ জন লোক দেশীয় অস্রেসজ্জিত হয়ে ফুট কোট মার্কেটের অন্তত ৬০টি দোকানে ৬০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।এতে মার্কেট মালিকপক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে,রেস্টুরেন্টের খাবার ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা,এছাড়া চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে এবং সব দোকান বন্ধ করে দেয়।এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।তবে মার্কেট মালিক এ মামলার বাদী মামুন বলেন,বিরুলিয়ায় ফুড কোর্ট মার্কেটটি আমরা ৫ জন মিলে তৈরি করি।বিগত কয়েক দিন যাবত বিরুলিয়ার বিলাল ও মোহাম্মদ মামুনের ইন্ধনে তাদের লোক জন মার্কেটে এসে প্রতিনিয়তই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।গতকাল বুধবার মামুন আমাকে ফোন দিয়ে বলে মার্কেটে থাকার জন্য।বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে চলে যাই।পরে আমি জানতে পারি মোহাম্মদ মামুন ও বিল্লাল ২০/৩০ জন লোক মার্কেটের দোকান গুলোতে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর চালায় ও দোকান বন্ধ করে দেয়।এতে করে মার্কেটের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।পরে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বিল্লাল’কে গ্রেফতার করে। তিনি আরো বলেন বিল্লাল বর্তমানে যুবদল করে।আগে মামুন যুবলীগ করতো।মামুনের যুবলীগের ব্যানার বিরুলিয়া ব্রীজের পাশে টানানো ছিলো।সে আবার এখন নাগরিক কমিটির পরিচয় দেয়।সাভার নাগরিক কমিটির নাইম ভাই বলছে মামুন নাগরিক কমিটির কেউ না।আমি এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।যাতে করে এ মার্কেটের ক্ষুদ্র দোকানিরা শান্তি মত ব্যাবসা করতে পারে।এদিকে রেস্টুরেন্টের মালিক ও কর্মচারীরা জানান,গতকাল রাতে ২০/৩০ জন লোক তাদের রেস্টুরেন্টে এসে চাঁদা দাবি করে।চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করতে বলে।এক পর্যায়ে তারা রেস্টুরেন্টের খাবার ও জিনিসপত্র ফেলে দেয়।অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয়।বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শাহীন মেম্বার বলেন,ঘটনার এক ঘন্টা পর আমি জানতে পারি এবং সেখানে যাই।দুই পক্ষকে মিলানোর চেষ্টা করি।মিমাংসার শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়।তাই আর মিমাংসা হয়নি।পরে আমি চলে আসি।বিল্লাল এই এলাকার ছেলে,সে বিএনপি করে,তার বাবা আওয়ামী লীগ করতো।আর মামুন আওয়ামী লীগ করতো।এই মামুনের সাথে মিল করে তার এ ঘটনা ঘটায়।সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন,এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।