সাভার প্রতিনিধিঃ
সাভারে দাবি করা চাঁদার না পেয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বংশী নদী থেকে তিনটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা লুট করেছে সন্ত্রাসীরা।পুলিশ খবর পেয়ে ২৪ ঘন্টায় দিকে লুট হওয়া তিনটি নৌকা উদ্ধার করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ।তবে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জড়িতদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।এদিকে গত বুধবার বিকালে সাভার পৌর এলাকার কর্ণপাড়া মহল্লায় মিলন ঘাটে বংশী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।নৌকা তিনটি মিলন ঘাট এলাকায় খেয়া পারাপরের কাজে ব্যবহার করা হতো,এছাড়া নৌকা তিনটি ব্যবহার করছিল ইজারাদার কামরুল ইসলাম।ইজারাদার কামরুল ইসলামের ছেলে হেদায়েতুল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাভারের কাতলাপুর কর্ণপাড়া মিলনঘাট বৈধভাবে ইজারা নিয়ে নৌকাদিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।স্থানীয় কথিত বিএনপির নেতা পরিচয় দানকারী অন্তর নামক বেক্তি পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।এ সময় আমি তাদের দাবীকৃত চাদা দিতে অস্বীকার করলে গত(৯ই এপ্রিল ২০২৫ইং)বুধবার বিকালে অন্তরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন পিস্তল নিয়ে আসে।এসময় ঘাটে থাকা মাঝিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুইটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এ সময় ঘাটে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য সন্ত্রাসী অন্তর পিস্তল উঁচিয়ে তিন রাউন্ড ফাকা গুলি করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে নৌকা তিনি নিয়ে যায়।এ সময় বাধা দান কারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে দেখা যায়।এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)জুয়েল মিয়া সাংবাদিকদের জানান,এ ঘটনায় অন্তরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এছাড়াও তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।এদিকে লুট হওয়া নৌকা তিনটির মালিক কামরুল এই জানান,আসামিরা নদীর ওপারে সিঙ্গাইর এলাকায় আত্ম গোপনে আছেন এবং সেখান থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।তাছাড়া সাভার সার্কেল এএসপি শাহনুর সাংবাদিকদের জানান,এঘটনা নিয়ে আমরা মামলা নিয়েছি।এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।তবে তারা নৌকা থেকে গুলিবর্ষণ করেছে কি না তা জানা যায়নি।তাছাড়া এঘটনা জানতে অন্তরের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এছাড়াও ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে বলে জানান তিনি।